October 30, 2024, 3:21 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আইন আদালতের উপর আস্থা রাখতে চান আবারের পরিবার। তারা মনে করেন আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। তারা আবরার হত্যার সঠিক রায় পাবেন।
যে কারনেই হোক প্রথম দিন রায় হয়নি, আজ হোক, আমার প্রাণ জুড়াক, আমি তো অপেক্ষায় রয়েছি, জানালেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন।
তিনি বলেন যথাযথ রায় এবং খুনীদের প্রকৃত শাস্তিই হবে আমার সান্তনা, এর থেকে বেশী কিছু আমার চাওয়ার নেই। সংক্ষিপ্ত কথা বলেন তিনি।
তিনি সকালে তার ছোট ছেলে আবরার ফাইয়াজকে নিয়ে কুষ্টিয়ার একটি এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। ফাইয়াজ এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
রোকেয়া জানান তার স্বামী বরকত উল্লাহ সোমবার রাতেই ঢাকাতে গেছেন। তিনি আদালতে থাকবেন।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঘোষণা করার সময় ধার্য করা রয়েছে। ঢাকার দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তিনি ঢাকায় রয়েছেন। রায় শুনতে সকালে আদালতে যাবেন।
তিনি বলেন আইনের প্রতি তার পরিবারের আস্থা রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহার-বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
Leave a Reply